সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
১৪ বছর পর ‘ভুলভুলাইয়া’র ছবিতে অক্ষয় কুমার ‘কিশোর গ্যাং নির্মূলে উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা পেয়েছে র‌্যাব’ উপপ্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব হারানোর পর থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ বিরোধী দল নিধনে এখনো বেপরোয়া কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে : মির্জা ফখরুল রাজশাহীর দুই জেলায় ভূমিকম্প অনুভূত ঢাকাসহ ৫ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সোমবার বন্ধ কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ, ৫০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বিছিন্ন তাপপ্রবাহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী গ্রেফতারের আতঙ্কে নেতানিয়াহু, প্রতিরোধের চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রও পদ্মা সেতুতে টোল আদায় হয়েছে ১৫০০ কোটি টাকা
স্বরূপকাঠি বাজারে চোর পুলিশ খেলা হচ্ছে, বন্দরের বাজারে ৫ টি পাইকারি মুদি মনোহারি দোকান খোলার সর্বশেষ নির্দেশ প্রশাসনের !!

স্বরূপকাঠি বাজারে চোর পুলিশ খেলা হচ্ছে, বন্দরের বাজারে ৫ টি পাইকারি মুদি মনোহারি দোকান খোলার সর্বশেষ নির্দেশ প্রশাসনের !!

পিরোজপুর জেলা প্রতিনি : ” চোর পুলিশ খেলা হচ্ছে স্বরূপকাঠি বন্দরের বাজারে ” করোনার লক ডাউনের আওতায় আনা হলে কোন রকম নিয়ম নীতি মেনে চলা হছে না। মনগড়া ইতিহাস সৃষ্টি করে স্থানীয় প্রশাসনের নাকের ডগায় রাম রাজত্ব কায়েম করেছে। গত ২৫ মার্চ সমগ্র বাংলাদেশের মধ্যে করোনার আতঙ্কে সকলেই আতঙ্কিত। লক ডাউনের আওতায় আনা হয়েছে সমগ্র বাংলাদেশের সকল শীর্ষ সহ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান। তবে স্থানীয় প্রশাসনের বিশেষ নির্দেশনা অনুযায়ী লক ডাউনের আওতায় বাহিরে থাকবে শুধু মাত্র  ঔষধের দোকান সহ কিছু কিছু দোকান।প্রতিটি উপজেলার   উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  সরকার কর্তৃক আইনের ধারা অনুযায়ী গণ সচেতনতা বৃদ্ধি কল্পে দারুণ প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে দিনের পর দিন। অথচ স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা উপেক্ষা করে মন গড়া নিয়ম নীতি চালু করে এক ধরনের রাম রাজত্ব কায়েম করেছে জগন্নাথকাঠীর বাজারে।
বাজার নিয়ন্ত্রণ সহ সকল আইনের তোয়াক্কা না করে ইচ্ছে মত ব্যাবসা বানিজ্য করে যাচ্ছে গত ২৫ মার্চ হতে। জিনিস পত্রের উর্ধগতি সহ খেয়াল খুশি মত আইন কানুন না মেনে দেদারসে ব্যাবসা করে যাচ্ছে। রাতারাতি নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হচ্ছে। চাল ডাল আটা ময়দা, চিনি, পিয়াজ, রসুন, আদা, জিরা, এলাচি সহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী বিক্রিতে চরম অনিয়ম পরিলক্ষিত হচ্ছে। ” ভোক্তা অধিকার আইন ” মানা হচ্ছে না স্বরূপকাঠি উপজেলার প্রধান প্রধান বাজার গুলোতে। অর্থ লোভী বেশির ভাগ ব্যাবসায়ীরা নিজস্ব বিবেক বোধ হত্যা করে অধিক মুনাফা অর্জনের নেশায় মেতে উঠেছে। এ ব্যাপারে নাম না প্রকাশের শর্তে বহু ক্রেতা জেলার গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, ” করোনার আতঙ্কে সকলেই আতঙ্কিত হলেও ব্যাবসায়ী  কিন্তু আতঙ্কিত নয় ” বরং নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে স্থানীয় প্রশাসনের লোকজনদের বৃদ্ধাা আঙুল দেখাচ্ছে।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্থানীয় ভাবে বিভিন্ন ব্যাক্তি বর্গের সাথে শলা পরামর্শ সহ সরকারি আইনের উপর ভিত্তি করে বাজার কমিটির উপর দায়িত্ব প্রদান করেন। অথচ বাজার কমিটির কিছু কিছু অবহেলার কারণে স্থানীয় প্রশাসনের নিয়ম নীতি অমান্য করে চরম অরাজকতা সৃষ্টি করে স্বরূপকাঠি বাজারে। যার যা খুশি মত একক সিদ্ধান্ত নিতে কার্পণ্যতা করে না। বাজার নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি ব্যাবসায়ীদের দখলে। চালের বাজার আকাশ শোয়া। কোন ধরনের নিয়ন্ত্রণ নেই প্রশাসনের। চলতি সময়ে সাধারন মানুষের নাগালের বাইরে  চলে যাচ্ছে ক্রয় ক্ষমতা। দিন দিন উর্ধগতির কারণে হত দরিদ্র পরিবারের লোকজন নাভিশ্বাস হয়ে উঠছে। আবার কিছু কিছু দোকানদার রাজনৈতিক ইমেজ ব্যাবহার করে ধরাকে সরা ঞ্জান করে যাচ্ছে যত্রতত্র ভাবে। এদিকে  জগন্নাথ কাঠীর বাজার মনিটরিং  ব্যাবস্থা  একদম ভেঙে পড়েছে। গত দুই দিন ধরে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের কিছু নিয়ম নীতি চালু  করে। অথচ কোন নিয়ম নীতিই মানা হচ্ছে না বন্দরের বাজারের ব্যাবসায়ীরা। কথায় বলে, ” কারো পৌষ মাস আবার কারো সর্বনাশ ” ঠিক করোনার আতঙ্কে সকলেই আতঙ্কিত হলেও ব্যাবসায়ীদের এখন চির যৌবনে পদার্পণ করেছে আর শুরু হয়েছে নব দিগন্তের পৌষ মাস। এ ব্যাপারে আউরিয়ার বাসিন্দা আব্বাস (৭৯) জেলার গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আসলে স্বরূপকাঠির জগন্নাথকাঠীর বাজার বিগত সময়ে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বাজার কমিটির নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকেই বাজারে নেতৃত্বহীন হয়ে পড়ে। গায়ের জোরে ও রাজনৈতিক প্রভাব থাকলেও  ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দূরদর্শিতার অভাব রয়েছে। আর সেই প্রভাব করোনার দুঃসময়ে পড়েছে বর্তমান বাজারে।                                                সর্বশেষ তথ্য মতে বাজার নিয়ন্ত্রণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশ মোতাবেক পাইকারি ৫ টি মুদি মনোহারী দোকান খোলার নির্দেশ রয়েছে। অথচ প্রশাসনের নিয়ম নীতিকে বৃদ্ধাা আঙুল দেখিয়ে দেদারসে সকল খুরচা মুদি দোকান খুলছে হার হামেশা।    অথচ ৫ টির মধ্যে পপুলার স্টোর, খোকন সাহা স্টোর, উদয় সাহা স্টোর, জামাল সিকদার স্টোর ও নারায়ন সাহা স্টোর।  তাই বাজার নিয়ন্ত্রণে  ঝটপট ভ্রাম্যমাণ আদালতে অতীব জরুরী হয়ে পড়ছে। আর এ প্রত্যাশা সকল ভোক্তাদের সহ হত দরিদ্র পরিবারের।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877